সর্ববৃহৎ এক্স-রে মেশিন : এখন অদেখাকে দেখবে মানুষ!
বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের আকার-আয়তন নিয়ে আমাদের কোনো জ্ঞান নেই। কী সুবিশাল আর অসীম তার বিস্তৃতি! কিন্তু এই ব্রহ্মাণ্ডের অতি ক্ষুদ্র জিনিসের আণবিক গঠনেও কত রহস্য লুকিয়ে! এগুলো দেখতে ও জানতে পারলেও অনেক রহস্য উন্মোচিত হয়। আর সে ব্যবস্থাই করে ফেলেছেন বিজ্ঞানীরা। ইউরোপিয়ান এক্সএফইএল প্রজেক্টের অধীনে তৈরি হয়েছে বিশ্বের সর্ববৃহৎ এক্স-রে লেজার মেশিন। বেশ কিছু দিন আগে থেকেই এর যাবতীয় কাজ শেষ করে আনায় ব্যস্ত ছিলেন বিজ্ঞানীরা। এখন এটি প্রস্তুত।
জার্মানির হামবুর্গের কাছে অবস্থিত ডেজি (ডিইএসওয়াই) রিসার্চ সেন্টারের বিজ্ঞানীরা এটি বানিয়েছেন। জার্মানি, ফ্রান্স, ইতালি, পোল্যান্ড, রাশিয়া, স্পেন, সুইডেন এবং সুইজারল্যান্ডের বিজ্ঞানীরা একযোগে কাজ করেন। এই মেশিনের মাধ্যমে যেকোনো জিনিসের আণবিক গঠন পর্যন্ত স্পষ্ট দেখা যাবে। যে কাজটি এর আগে স্বপ্ন হয়েই ছিল।
এর আগেই বলা হয়েছিল, এই এক্স-রে লেজার মেশিনের মাধ্যমে ২.১ কিলোমিটার বা ১.৩ মাইল পর্যন্ত গতির সঙ্গে ইলেকট্রন ফায়ার করা যাবে। ইতিমধ্যে মেশিনের মাধ্যমে রঞ্জন রশ্মি ফায়ার করা হয়েছে যা আকাঙ্ক্ষিত গতি তুলতে সমর্থ হয়েছে। এই ইউরোপিয়ান এক্সএফইএল মেশিন মাত্র এক সেকেন্ডে ২৭০০০টি এক্স-রে ফ্ল্যাশ উৎপাদন করতে পারে। এই ফ্ল্যাশগুলো এতটাই শক্তিশালী যে আণবিক গঠনের এমন ছবি দেখাবে যা আগে কখনো দেখা সম্ভব হয়নি।
আসরে মাইক্রো স্তরে গিয়ে এ দুনিয়াকে দেখা দুঃসাধ্য কাজ। এখন তাই করা যাবে। এখন বিভিন্ন ক্ষেত্রে গবেষণার কাজকে আরো সফলভাবে এগিয়ে নেওয়া যাবে। যেমন- সাধারণ রোগ সৃষ্টিকারী জীবাণু বা ভাইরাসের গঠন আরো কাছ থেকে দেখা যাবে। চিকিৎসা বিজ্ঞানে আর নতুন ও সফল কিছু যোগ করা সম্ভব হবে।
এভাবে পৃথিবীটাকে যত গভীরভাবে দেখা সম্ভব হবে, আমাদের জ্ঞান তত বৃদ্ধি পাবে। ততই এগিয়ে যাবে মানবসভ্যতা, এমনটাই মনে করেন বিজ্ঞানীরা।