Welcome to Our Blog

ওয়ার্ডপ্রেস সাইটের লোড কমানোর কিছু মাস্টার টিপ

by Admin for dhakanews, IT News, Others, Security Tips, Web Development 26-Oct-2016

ওয়ার্ডপ্রেস সম্পর্কে নতুন করে বলার কিছু নাই, ওয়েব এর সকল সাইটের বেশির ভাগ ই ওয়ার্ডপ্রেস দ্বারা নির্মিত, কিন্তু বিভিন্ন কারনে আমরা দেখতে পাই ওয়ার্ড প্রেস দ্বারা নির্মিত ওয়েবসাইট কিছুটা স্লো হয়ে থাকে। ওয়েবসাইটের লোড টাইম একটি গুরুত্বপূর্ন বিষয় । SEO করার কাজেও লোড টাইম বেশ জরুরি।

আপনার সাইটের লোডস্পীড দেখে নিন এই লিঙ্ক থেকে- Speed test

পেজের লোড টাইম কমানোর জন্য কিছু টিপস –

থিম নির্বাচন:

থিম নির্বাচন নিয়ে কি ছু কথা না বললে নয়, থিম নির্বাচন করার সময় সতর্কতার সহিত নির্বাচন করতে হবে,সুন্দর থিম দিতে গিয়ে যদি সাইট স্লো হয়ে যায় তাহলে সেটা ক্ষতির কারন হয়ে দাড়াতে পারে, আর সব থেকে বেসি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হোস্টিং নির্বাচন করার সময় ভাল মানের হোস্টিং নির্বাচন করবেন। এটি আপনার সাইটের স্পীড এর ক্ষেত্রে অনেক গুরুত্ব পূর্ণ বিষয়।

প্লাগিন বেশি ব্যবহার করবেন না:

বেশি প্লাগিন ইন্সটল করা থাকলে তা পেজ লোড বাড়িয়ে দিবে । যতদূর সম্ভব কম প্লাগিন ব্যবহার করা উচিৎ । আর প্লাগিন ব্যবহৃত না হলে কখনো ডিঅ্যাক্টিভেট করে রাখবেন না । ডিরেক্টরি থেকেও মুছে ফেলুন কারন ওয়ার্ডপ্রেস সবগুলো ইন্সটল করা প্লাগিনই শুরুতেই লোড করে ।

নিজস্ব ছবি ব্যবহার করুন:

থার্ড পার্টি কোন সার্ভারে ইমেজ আপলোড করে তারপর ব্যবহার করলে সেটাও পেজ লোড টাইম বেশি হওয়ার কারন হতে পারে । সবসময় নিজের হোস্টেড ইমেজ ব্যবহার করার চেষ্টা করুন । অথবা খুব বেশি প্রয়োজন হলে ফ্লিকার ব্যবহার করুন ।

ই্মেজের সাইজ কমান:

ওয়েবসাইটে বড় সাইজের ইমেজ ব্যবহার করলে তা পেজ লোড বাড়িয়ে দিবে । তাই অবশ্যই বড় সাইজের ইমেজ ব্যবহারে সতর্ক হতে হবে । প্রয়োজনে অনলাইন টুল ব্যবহার করে ইমেজ রিসাইজ করতে পারেন ।

সিডিএন ব্যবহার করুন:

সিডিএন(CDN) হচ্ছে কনটেন্ট ডেলিভারি নেটওয়ার্ক । আপনার সাইটে ডাউনলোডের কনটেন্ট বেশি হলে সিডিএন ব্যবহার করতে পারেন । এর ফলে ভিজিটর একই সাথে আপনার সাইট এবং সিডিএন থেকে ডাউনলোড করতে পারবে যা পেজ লোড টাইম কমিয়ে দিবে । সিডিএন হিসেবে অ্যামাজনের সার্ভিসটি ব্যবহার করতে পারেন । এটা ৫ গিগাবাইট পর্যন্ত ফ্রী !

ডাটাবেজ অপটিমাইজ করুন:

ডাটাবেজ অপটিমাইজ করার সবচেয়ে সহজ পদ্ধতি হচ্ছে WP-Optimize ব্যবহার করা । এটা দিয়ে আপনি ওয়ার্ডপ্রেস ড্যাসবোর্ড থেকেই পোস্ট রিভিশন, স্প্যাম কমেন্ট ইত্যাদি মুছে ফেলতে পারবেন ।

অপ্রয়োজনীয় সিএসএস এবং জাভাস্ক্রিপ্ট মুছে ফেলুন:

থিম থেকে অব্যবহৃত বা অপ্রয়োজনীয় সিএসএস এবং জাভাস্ক্রিপ্ট মুছে ফেলুন । কারন প্রতিটি তথ্যই ফাইল সাইজ বাড়িয়ে দেয় যা পেজ লোড বৃদ্ধির কারন । style.css এবং custom.css এ দেখুন অপ্রয়োজনীয় কোন তথ্য আছে কিনা । সাথে জাভাস্ক্রিপ্ট ফাইলগুলোও দেখুন । থিসিস থিম ব্যবহার করলে custom_functions.php তেও দেখুন অব্যবহৃত কোন তথ্য আছে কিনা ।

জাভাস্ক্রিপ্ট ফুটারে ব্যবহার করুন:

কাস্টম জাভাস্ক্রিপ্ট ফাইলগুলোও ফুটারে কল করা যেতে পারে । তাতে প্রথমে সাইট লোড হয়ে যাবে এরপর স্টাইলিং বা কাস্টমাইজেশন লোড হবে ।

তাছাড়া আপনি থার্ড পার্টি কোন টেক্সট-বেজড অ্যাড ব্যবহার করলে তা ফ্রন্ট পেজে লোড না করাই ভাল । এছাড়া অন্য সব পেজে ব্যবহার করতে পারেন ।

Wp-Smash it প্লাগিনটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে আপনার নতুন পোস্টের ইমেজগুলোকে কমপ্রেস করে ফেলবে ডিস্ক স্পেস সেভ হওয়ার পাশাপাশি পেজ লোড টাইমও কমে যাবে ।

আর  বেশি কিছু  জানতে     https://wordpress.org/     ডকুমেন্টেশান  ভাল ভাবে  পড়ুন।

ডাউনলোড লিঙ্ক

উপরে উল্লেখিত সবগুলো পদ্ধতিগুলো থেকে আপনার প্রয়োজনীয় পদ্ধতিগুলো অবলম্বন করুন ।নিজের কোন পদ্ধতি জানা থাকলেও সেটা সবার সাথে শেয়ার করুন ।

নোটঃ লেখাটি http://www.wpbangla.com/1703 থেকে নেয়া!

নিয়মিত ফেসবুক ব্যবহার করলেই বাড়বে আয়ু!

by Admin for dhakanews, IT News 02-Nov-2016

ফেসবুকেই নাকি লুকিয়ে রয়েছে জীবনের নির্যাস৷ বেশি মাত্রায় ফেসবুক করলে বাড়বে আয়ু৷ এই ভার্চুয়াল দুনিয়াতেই লুকিয়ে রয়েছে বেশিদিন বাঁচার চাবিকাঠি৷ কিন্তু একটা শর্ত রয়েছে এখানে৷ শর্তটা হল কেবল এবং কেবলমাত্র ভার্চুয়াল পরিসরে সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট ব্যবহার করলে চলবে না৷ বাস্তবেও বজায় রাখতে হবে সামাজিকতা৷ আর এই নিয়ম মেনে চললেই কেল্লাফতে৷

সাম্প্রতিক একটি গবেষণায় উঠে এসেছে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য৷ ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়া স্যান ডিয়েগোর গবেষক উইলিয়াম হবস জানিয়েছেন, ‘ফেসবুক এবং সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট ব্যবহার করে সামাজিকতা বজায় রাখা স্বাস্থ্যের পক্ষে ভাল৷ এতে শরীর এবং মন দুইই ভাল থাকে৷ কিন্তু গোটা বিষয়টি কেবলমাত্র ভার্চুয়াল রিয়ালিটির মধ্যে আটকে রাখলে হবে না৷ বাস্তবেও সামাজিকতা করতে হবে৷ তবেই মিলবে উপকার৷’

ছ’মাসের একটি সমীক্ষা চালিয়ে দেখা গেছে, যাঁরা ফেসবুকে দৈনন্দিন সময় কাটান তাঁদের বেঁচে থাকার সম্ভাবনা বেশি৷ বন্ধুদের সঙ্গে বার্তালাপ কিংবা ফেসবুকে মনের কথা লেখা, এই প্রতিটি বিষয়ই মন হালকা করতে বেশ সাহায্য করে৷ পাশাপাশি, বন্ধুতা বজায় রাখতে সাহায্য করে এই সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট৷ আর তাই জীবনকে সতেজ রাখতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এই সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট৷

সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন

বাংলাদেশি ‘খুদে আইনস্টাইন’কে ওবামার চিঠি

by Admin for dhakanews 17-Nov-2016

যুক্তরাষ্ট্রে মা-বাবার সঙ্গে বাস করে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত চার বছরের শিশু সুবর্ণ আইজ্যাক বারী। এরই মধ্যে তাকে ‘বিস্ময় শিশু’ বা ‘খুদে আইনস্টাইন’ নামে ডাকা শুরু হয়েছে। কী করেছে এই খুদে বিস্ময়? সে কথা একটু পরে জানা যাক। তার আগে বড় খবর হলো, এই শিশুর কর্মকাণ্ডে মুগ্ধ হয়ে গত ২ নভেম্বর তাকে একটি চিঠি লিখেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা।

চিঠিতে বারাক ওবামা লিখেছেন, ‘প্রিয় সুবর্ণ, আশা করছি তুমি তোমার কঠোর পরিশ্রম এবং অর্জনের জন্য গর্ব অনুভব করো। তোমার মতো শিক্ষার্থী আমেরিকায় আরো দরকার, যারা স্কুলে কঠোর পরিশ্রম করার চেষ্টা করে, বড় স্বপ্ন দেখে এবং আমাদের সমাজের পরিবর্তন ঘটায়। আমাদের দেশ অনেক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়। কিন্তু আমরা যদি ঐক্যবদ্ধ হই তাহলে এসব মোকাবিলা করা কোনো ব্যাপারই নয়। তুমি তোমার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাও, আমি তোমার সঙ্গে আছি। তোমার কাছে আমি অনেক বড় কিছু প্রত্যাশা করি।’

সুবর্ণ যখন মাত্র দেড় বছর বয়সী তখনই রসায়নের পর্যায় সারণি তথা কেমিস্ট্রি পিরিয়ডিক টেবিল মুখস্থ করে ফেলেছে। তার বয়স যখন তিন বছর তখনই সে লেবুর সাহায্যে ব্যাটারি এক্সপেরিমেন্ট করে। সাড়ে তিন বছর বয়সে বিখ্যাত একটি কলেজের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সাক্ষাতের আমন্ত্রণ পায়। এরই মধ্যে তার সঙ্গে কথা বলেছে ভয়েস অব আমেরিকাসহ বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যমগুলো।

চার বছর বয়সী শিশুর ছোটবেলা কোনটা। তবু বলা হচ্ছে তখন সে খুব ছোট ছিল। নিউ ইয়র্কের একটি হাসপাতালের বেডে জ্বরে কাতরাচ্ছিল। তার বাবা রাশীদুল বারী বলেন, ‘আই লাভ ইউ মোর দ্যান এনিথিং ইন দ্য ইউনিভার্স।’ সুবর্ণ তার বাবাকে পাল্টা প্রশ্ন করে, ‘ইউনিভার্স অর মাল্টিভার্স?’

এ কথা শুনে তার বাবা চমকে যান। তখনো তিনি জানতেন না সুবর্ণ তিন বছর বয়সে অঙ্ক, পদার্থবিজ্ঞান ও রসায়নে দক্ষতা দেখিয়ে সারা পৃথিবীকে নাড়িয়ে দেবে। বর্তমানে সুবর্ণ যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে হইচই ফেলে দিয়েছে। সুবর্ণ এখনো স্কুলে যাওয়া শুরু করেনি। কিন্তু এরই মধ্যে জ্যামিতি, বীজগণিতসহ রসায়নের জটিল বিষয়ের সহজ সমাধান দিচ্ছে।

মাত্র দেড় বছর বয়সে রসায়নের পর্যায় সারণির গল্প শুনিয়েছেন তার বাবা রাশিদুল বারী। তিনি জানিয়েছেন, ওর মা ওকে অঙ্ক শেখাচ্ছিলেন। হঠাৎ সুবর্ণ বলল, ‘ইফ ওয়ান প্লাস ওয়ান ইকুয়াল টু টু, দ্যান টু প্লাস টু ইকুয়াল টু ফোর এবং এন+এন ইকুয়াল টু টুএন, তাই না?’ রাশীদুল বারী তখন পাশের রুমে তাঁর ছাত্রদের পরীক্ষার খাতা দেখছিলেন।

ছেলের এমন প্রতিভায় মুগ্ধ হয়ে রাশীদুল বারী তাকে অ্যাডভান্সড ম্যাথ অ্যান্ড সায়েন্স শেখাতে শুরু করলেন। আর এভাবেই মাত্র দুই বছর বয়সে সে রসায়নের পিরিয়ডিক টেবিল মুখস্থ করে ফেলল। এ অবিশ্বাস্য কথাটি সিটি ইউনিভার্সিটি অব নিউ ইয়র্কের ছাত্র-শিক্ষকদের মাঝে ছড়িয়ে পড়ে।

এই বিস্ময়কর প্রতিভার কথা জানতে পারেন মেডগার এভার্স কলেজের ভাইস প্রেসিডেন্ট জেরাল্ড পোজম্যান। তিনি সুবর্ণর মেধা যাচাই করতে চান। সুবর্ণ পর্যায় সারণির সব এলিমেন্ট বলে পোজম্যানকে অবাক করে দেয়। সেদিন তিনি এতই মুগ্ধ হয়েছিলেন যে এক বছর পর অর্থাৎ গত বছরের ২৫ নভেম্বর আবার তাকে ডেকে পাঠালেন পোজম্যান।

এরপর ডাক পড়ে ভয়েস অব আমেরিকার বাংলা বিভাগ থেকে। বাবা বারী তাকে নিয়ে যান ওয়াশিংটন ডিসিতে ভয়েস অব আমেরিকা স্টুডিওতে। সেখানে সাবরিনা চোধুরী ডোনা তার ইন্টারভিউ নেন এবং বছরের সেরা কনিষ্ঠ ইন্টারভিউ হিসেবে তাঁরা এটা বাছাই করে ইংরেজি নববর্ষে পুনঃপ্রচার করেছেন।

সবর্ণর বাবা রাশেদুল বারীর বাড়ি চট্টগ্রামে। তিনি উচ্চশিক্ষার জন্য নিউ ইয়র্কে আসার পর ব্রংকসের লিমন কলেজে অধ্যয়ন করেছেন। বর্তমানে তিনি নিউ ইয়র্ক সিটি ইউনিভার্সিটির বারুখ কলেজে অঙ্কের অ্যাডজাংকট অধ্যাপক। একই সঙ্গে নিউভিশন চার্টার হাই স্কুল ফর অ্যাডভান্সড ম্যাথ অ্যান্ড সায়েন্সে পদার্থবিজ্ঞানের শিক্ষক। জেরুজালেম পোস্টে তিনি নিয়মিত কলাম লিখছেন।

সুবর্ণর মা রেমন বারী ব্রংকস কমিউনিটি কলেজ থেকে অ্যাকাউন্টিংয়ে ডিগ্রি নিয়েছেন। সুবর্ণর একমাত্র বড় ভাই রিফাত আলবার্ট বারীর বয়স ১২ বছর। সেও অসাধারণ মেধার অধিকারী। সপ্তম গ্রেডে পড়ছে এবং সাতটি ভাষায় কম্পিউটার প্রোগ্রামিংয়ে অভ্যস্ত। সে হাই স্কুলে না গিয়েই বিশ্ববিখ্যাত হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হতে চায়। এ জন্য সে এরই মধ্যে তিনবার এসএটি প্রদান করেছে।

সুবর্ণর জন্ম ২০১২ সালের ৯ এপ্রিল। সুবর্ণ তার বাবার ল্যাবরেটরিতে যাচ্ছে এবং অঙ্কশাস্ত্র ছাড়াও রসায়নের বিভিন্ন বিভাগ সম্পর্কে ধারণা নিচ্ছে।

ফিরল নকিয়ার সেই ৩৩১০

by Admin for dhakanews 27-Feb-2017

অভিষেক হওয়ার ১৭ বছর পর আবারও নতুন করে নকিয়ার তুমুল জনপ্রিয় নকিয়া ৩৩১০ ফোনটি আবার বাজারে এল। ২০০৫ সালের পর নকিয়া ৩৩১০ ফোনটি আর বাজারজাত করেনি।

বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, স্পেনের বার্সেলোনায় রোববার মোবাইল ওয়ার্ল্ড কংগ্রেস টেক শোর আগে এক অনুষ্ঠানে এই ফোনটি উন্মোচন করল নকিয়া। নতুন ভার্সনটি ফিলিপাইনের এইচএমডি গ্লোবালের অধীনে বিক্রি হবে। রোববার নকিয়া থ্রি, নকিয়া ফাইভ ও নকিয়া সিক্স সারা বিশ্বের জন্য উন্মোচন করা হয়েছে।

নকিয়া ৩৩১০ ফিচার ফোন হিসেবে বাজারে এল। এতে ২.৫ জি কানেকটিভিটি ব্যবহার করা যাবে। এটি এস ৩০ প্লাস অপারেটিং সিস্টেমে চলবে। ২ মেগাপিক্সেলের একটি সিঙ্গেল ক্যামেরা যুক্ত এই ফোনে সবচেয়ে বড় আকর্ষণ হবে এর ব্যাটারি। এই ব্যাটারি একবার চার্জ দিয়ে এক মাস (স্ট্যান্ড বাই টাইম) চালানো যাবে ফোনটি। কালার স্ক্রিনের এই ফোনের দাম ধরা হয়েছে ৫১.৭৫ ডলার।

২০০৫ সালে বাজার থেকে হারিয়ে যাওয়ার আগে ১২৬ মিলিয়ন নকিয়া ৩৩১০ তৈরি করা হয়েছিল। একজন বিশেষজ্ঞ বলেছেন, বাজারে ৩৩১০ ফিরিয়ে আনাটা নকিয়ার দারুণ কৌশল।

রোজ ১০০ মিনিটের ঘুম কেড়ে নিচ্ছে ফেসবুক!

by Admin for dhakanews 21-Mar-2017

ঘুম থেকে ওঠা থেকে শুরু করে ঘুমাতে যাওয়ার আগে পর্যন্ত, ফেসবুক ওপেন করে বসে না এখন এমন লোক খুজে পাওয়া মুস্কিল। একটি গবেষণা সংস্থা থেকে জানা গিয়েছে, এই সোশ্যাল সাইটের কারণে প্রতিদিনে গড়ে ১০০ মিনিট ঘুমের সময় নষ্ট হচ্ছে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে রাতে শোয়ার আগে অন্তত একবার হলেও ফেসবুক, টুইটার আর হোয়াটসঅ্যাপে অন থাকে ইন্টারনেট ইউজাররা। যদি কোনও কারণে ইউজার অন হতে না পারে তবে কি অপূর্ণ থেকে যায় তাদের কাছে!

কখন ভেবে দেখেছেন এই করতে গিয়ে কতটা সময় নষ্ট হয়ে যায়। মোবাইলের স্ক্রিনে একবার চোখ আটকে গেলেই হলো! অফ করবো, অফ করবো করে শেষ হয়ে যায় অনেকটা সময়। এই সমস্যায় জর্জরিত বিশ্বের সব মানুষ। বেঙ্গালুরুর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব মেন্টাল হেলথ অ্যান্ড নিউরো সায়েন্স’র গবেষকরা এ নিয়ে সম্প্রতি একটি গবেষণা করেছেন। গবেষণায় দেখা যায়, অত্যধিক পরিমাণে ইন্টারনেট ব্যবহারের ফলে নষ্ট হচ্ছে মানুষের ঘুমের সময়। আর সেই সময়টা আবার ফেলে দেওয়ার মতো নয়। সোশ্যাল সাইটের নেশা প্রতিদিন গড়ে কেড়ে নিচ্ছে একেকজন ইউজারের ১০০ মিনিটের ঘুম। আর সেটা তাদের অজান্তেই।

ওই গবেষণায় আরো দেখা গিয়েছে, ইন্টারনেটের নেশার কারণে ঘুম থেকে উঠতেও একেকজনের গড়ে দেরি হয় প্রায় ৯০ মিনিট। চিকিৎসকদের মতে, এভাবে দীর্ঘদিন ঘুমের সমস্যা চলতে থাকলে দেখা দিতে পারে হৃদরোগ এবং অ্যাংজাইটির সমস্যা। এর আগে ২০১৫ সালের আরেক গবেষণায় দেখা যায়, যেসব কম বয়সী রোগী হার্ট অ্যাটাকের সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়, তাদের ৯০ শতাংশই পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমাতে পারেন না।

বিস্ময় প্রতিভার কাছে পরাস্ত কম্পিউটার!

by Admin for dhakanews 27-Mar-2017

ভারতের বেঙ্গালুরুর গোঁড়া কন্নড় পরিবারে জন্ম | বড় হয়ে পুজা অর্চনার কাজ শেখাই ছিল ভবিতব্য | কিন্তু বিদ্রোহ করে পারিবারিক পৌরহিত্য পেশাকে না নিয়ে সেই তরুণ যোগ দিয়েছিল সার্কাসে | প্রথমে ট্রাপিজের খেলা | তারপরে সিংহের প্রশিক্ষক |

নিয়ম ভাঙার খেলায় মেতে ওঠা সেই যুবক একদিন চমকে গেল তার মেয়ে শকুন্তলার ক্ষমতা দেখে | তিন বছরের শিশুকন্যা সার্কাসের তাবুতে বসে বাবার সঙ্গে তাসের খেলা খেলত | ওই শিশুর কাছে হেরে ভূত হতেন বাবা | একরত্তি শিশুর স্মরণশক্তির কাছে হার মানতেন বাবা | মেয়ের ঐশ্বরিক ক্ষমতা দেখে সার্কাস ছেড়ে দিলেন তাঁর বাবা | শুরু করলেন মেয়েকে নিয়ে রোড শো | যেখানে নম্বর মনে রাখার অদ্ভুত খেলা দেখিয়ে সবাইকে হতবাক করে দিতে শকুন্তলা |

অন্য বিস্ময় বালিকার মতো বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে হারিয়ে যায়নি শকুন্তলার ক্ষমতা | বরং সময়ের স্রোতে তা আরও বিকশিত হয়েছে | বালিকা শকুন্তলার স্মরণশক্তির সাক্ষী থেকেছে মাইসোর বিশ্ববিদ্যালয় এবং আন্নামালাই বিশ্ববিদ্যালয় |

১৯৭৭-এ শকুন্তলা দেবী পাল্লা দিলেন কম্পিউটারের সঙ্গে | ডালাসে হারিয়ে দিলেন যন্ত্র গণককে | কম্পিউটারের কম সময়ে বলে দিলেন ১৮৮১৩২৫১৭-এর cube root | আর এক মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়ে শকুন্তলা দেবীকে বলা হল- ৯১৬৭৪৮৬৭৬৯২০০৩৯১৫৮০৯৮৬৬০৯২৭৫৮৫৩৮০১৬২৪৮৩১০৬৬৮০১৪৪৩০৮৬২২৪০৭১২৬৫১৬৪২৭৯৩৪৬৫৭০৪০৮৬৭০৯৬৫৯৩২৭৯২০৫৭৬৭৪৮০৮০৬৭৯০০২২৭৮৩০১৬৩৫৪৯২৪৮৫২৩৮০৩৩৫৭৪৫৩১৬৯৩৫১১১৯০৩৫৯৬৫৭৭৫৪৭৩৪০০৭৫৬৮১৬৮৮৩০৫৬২০৮২১০১৬১২৯১৩২৮৪৫৫৬৪৮০৫৭৮০১৫৮৮০৬৭৭১-এর 23rd root বলতে | সঠিক উত্তর দিতে তিনি সময় নিয়েছিলেন ৫০ সেকেন্ড | তাঁর দেওয়া ৫৪৬৩৭২৮৯১ উত্তরটা যে ঠিক সেটা জানাতে কম্পিউটার সময় নিয়েছিল আরও ১০ সেকেন্ড বেশি | এবং তারজন্য তাকে দিতে হয়েছিল মোট ১৩০০ ইনস্ট্রাকশন |

আমেরিকার পরে এবার ইংল্যান্ডের পালা | ১৯৮০ সালের ১৮ জুন তাঁকে লন্ডনের Imperial College বলল দুটি সংখ্যার মধ্যে গুণ করতে |

সংখ্যা দুটি কী কী ছিল ?

৭‚৬৮৬‚৩৬৯‚৭৭৪‚৮৭০ আর ২‚৪৬৫‚০৯৯‚৭৪৫‚৭৭৯ |

মাত্র ২৮ সেকেন্ডের মধ্যে শকুন্তলা দেবী দিলেন উত্তর-১৮‚৯৪৭‚৬৬৮‚১৭৭‚৯৯৫‚৪২৬‚৪৬২‚৭৭৩‚৭৩০ |

এই ঘটনা জায়গা করে নেয় গিনেস বুকে | সংখ্যা নিয়ে খেলা করা এই মানবী আবার জ্যোতিষচর্চাও করতেন | জন্ম সময় আর স্থান বিচার করে বলে দিতেন ভূত ভবিষ্যৎ | এই আজব মিশেল ও অবস্থান তাঁর প্রতিভার মতোই বিরল ও দুর্লভ | তাঁর লেখা বই-এর মধ্যে আছে Fun with Numbers, Astrology for You, Puzzles to Puzzle You এবং Mathablit |

চার বছর আগে ৮৩ বছর বয়সে প্রয়াত হন এই আশ্চর্য মানবী | শ্বাসকষ্টের সমস্যা নিয়ে ভর্তি হয়েছিলেন হাসপাতালে | সমস্যা ছিল হৃদযন্ত্র আর কিডনিরও | বার্ধক্যজনিত অসুস্থতার কাছে হার মানলেন হিউম্যান কম্পিউটার | ক্ষুরধার প্রতিভার জন্য এই তকমাই দেওয়া হয়েছিল গণিতকন্যাকে |

Blog Categories

Popular Posts